দামোদর নদে স্নান করতে নেমে গর্তে তলিয়ে মৃত‍্যু হল এক ছাত্রের , গ্ৰামবাসীরা বাঁচালেন অপর একজনকে , চাঞ্চল‍্য পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের গৈতনপুরে

2nd March 2020 বর্ধমান
দামোদর নদে স্নান করতে নেমে গর্তে তলিয়ে মৃত‍্যু হল এক ছাত্রের , গ্ৰামবাসীরা বাঁচালেন অপর একজনকে , চাঞ্চল‍্য পূর্ব বর্ধমানের খন্ডঘোষের গৈতনপুরে


 দামোদরে স্নান করতে নেমে গভীর গর্তের জলে  তলিয়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক ছাত্রের ।বরাত জোরে প্রাণে বেঁচে গেছে অপর এক ছাত্র। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের গৈতনপুর চরমানা এলাকায়।ছাত্রের অকাল মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছেন পরিবার পরিজন ।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে , মৃত ছাত্রের নাম দেবজিৎ দাস (১৪) ওরফে আয়ুষ। তার বর্ধমানের কাঞ্চননগরের খর্গেশ্বরপল্লী  এলাকায় সে স্থানীয় বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণীতে পড়তো । অপর যে ছাত্র তলিয়ে যেতে যেতে বেঁচে গেছে তার নাম কৌশিক অধিকারী (১৪)। একই  বিদ্যালয়ে  নবম শ্রেণীতে পড়ুয়া এই ছাত্রের বাড়িও কাঞ্চননগর এলাকাতেই  । 
এলাকাবাসীর কথায় জানাগেছে, এদিন  দুপুরে দুই বন্ধু মিলে চলে আসে গৈতনপুর চরমানা এলাকায় । সেখানে কিছুক্ষণ বসে তারা  গল্পগুজব কররে । দুজনের কেউ সাঁতার না জানা সত্ত্বেও তারা পোষাক খুলে দামোদরে স্নান করতে নেমে পড়ে। গভীর জলে পড়েযেতেই দুজনে হাবু ডুবু খেতে শুরু করেদেয় । ছাত্রদের তলিয়ে যেতে দেখে স্থানীয় কয়েকজন জলে ঝাঁপিয়ে পড়েন ।তারা কৌশিক কে দ্রুত উদ্ধার করতে পারলেও দেবজিৎতের  আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিলনা । স্থানীয়রা বেশ কিছুক্ষণ দামোদরের গভীর জলে খোঁজ চালানোর পর দেবজিৎতের দেহ উদ্ধার হয় । জল থেকে উদ্ধার হওয়া দুই ছাত্রকে পুলিশ বর্ধমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায় । সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দেবজিৎ কে মৃত ঘোষনা করেন ।  গৈতনপুর চরমানা এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন ,অবৈজ্ঞানিক ভাবে বালি তোলার কারণে তাদের এলাকায় দামোদরের এক এক জায়গায় গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে ।কোথায় সেই গভীর গর্ত রয়েছে তা কারুরই বোঝার উপায় নেয় ।এলাকাবাসীর অভিযোগ  সামান্য  জল দেখে ছাত্ররা স্নান করতে নেমে গভীর গর্তের জলে পড়ে যাওয়াতেই  এই মর্মান্তি ঘটনা ঘটেগেছে । পুলিশ মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে । 

 





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।